বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘পাবনা-৪ উপ-নির্বাচনেও ধানের শীষের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর গুন্ডা বাহিনী। জাতীয় সংসদের নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে বৃহস্পতিবার ধানের শীষের প্রার্থীর প্রস্তুতি সভায় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে অনেক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আসন্ন উপনির্বাচনগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আলামত দেখা যাচ্ছে। তবে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে যতই বাধা দেয়া হোক সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।’
এ হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়ে তিনি একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিশ্বাসযোগ্য ভোটদান নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শনিবার এবং নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচন ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
রিজভী দাবি করেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কতিপয় পদলেহী অর্বাচীন অসুস্থ লোক ইতিহাস বিকৃত করার প্রক্রিয়ায় জিয়াউর রহমানকে খাটো করার অপচেষ্টায় নিরন্তর কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘মান্নান হীরা নামে এক ব্যক্তি নিজেকে আওয়ামী লীগের নেকনজর পাওয়ার জন্য গত এক বছর যাবত ইনডেমনিটি নামে তথাকথিত একটি বিকৃত ইতিহাসের চটি নাটক লিখে জয় বাংলা ব্যানারে বা তাদের সাংস্কৃতিক জোটের নামে সারাদেশে মঞ্চায়ন করে বেড়াচ্ছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এ কথিত পথ নাটকটি ২৬ সেপ্টেম্বর নিশিরাতের এক সংসদ সদস্যের মালিকানাধীন টিভিতে প্রচার করা হবে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা তাদের সাবধান করে দিতে চাই এ ইতিহাস বিকৃতি ও তথ্যসন্ত্রাসমূলক নাটক প্রচারের অপচেষ্টা চালিয়ে গণশত্রু হবেন না। এ নাটকের রচয়িতা, পরিচালক, নির্দেশক, অভিনেতা-কলাকুশলীদের জনগণ মনে রাখবে।’
এই অর্বাচীনরা হলো গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ব্যবসা করা ফড়িয়া ও দালালদের সহযোগী।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংগঠিত এ ষড়যন্ত্রকে জনগণ শুধু ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যানই করছে না, রণাঙ্গনের বীর সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও তার চরিত্র হননের অপপ্রয়াসের জন্য আপামর জনগণ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা মানেই রণাঙ্গনের সকল মুক্তিযোদ্ধাকেই অপমান করা।’